গয়না কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্যের উপকরণ নয়, বহু প্রাচীনকাল থেকেই এগুলি আমাদের শরীর, মন এবং ভাগ্যের ওপর প্রভাব ফেলে বলেই বিবেচিত। হিন্দু শাস্ত্র মতে, তামা (Copper) একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ধাতু, যা সূর্যের শক্তির প্রতীক। বহু বছর ধরে তামার আংটি জ্যোতিষশাস্ত্রে ঔষধীয় এবং জ্যোতিষীয় উপকারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু এই আংটি কি সব্বাই পরতে পারেন? তার জন্যই দরকার বিশ্লেষণ।
তামা ও সূর্যের শক্তি: সম্পর্ক ও প্রভাব
জ্যোতিষ মতে, সূর্য হল আত্মা, সত্ত্বা, আত্মবিশ্বাস, রাজনীতি, সরকার, পিতা, ক্ষমতা ও সম্মানের গ্রহ। কারও কুন্ডলিতে সূর্য দুর্বল হলে জীবনজুড়ে সম্মানহানি, আত্মবিশ্বাসের অভাব, সরকারি বাধা, পিতৃসমস্যা ও আর্থিক অসুবিধা দেখা যায়। তামা হল সূর্যের ধাতু। তাই এই আংটি ধারণ করলে সূর্যের দুর্বলতা অনেকটাই কাটানো যায়।
তামার আংটির জ্যোতিষীয় উপকারিতা:
১. রবির দোষ হ্রাস: যাঁদের কুন্ডলিতে রবির স্থিতি খারাপ, তাঁদের জন্য তামার আংটি অত্যন্ত উপকারী। এটি সূর্যের প্রভাবকে শক্তিশালী করে তোলে।
২. আর্থিক উন্নতি: তামার আংটি ধারন করলে ধীরে ধীরে আর্থিক অবস্থা মজবুত হয়। হঠাৎ করে অর্থের আগমনও হতে পারে।
৩. সৌর শক্তির কৃপা: সূর্যদেবের আশীর্বাদে ব্যক্তি পায় পুত্রসন্তান, আয়ু, জ্ঞান, নাম-খ্যাতি, নেতৃত্ব ক্ষমতা, উচ্চ পদ।
৪. মঙ্গলের দোষ থেকে রক্ষা: কুন্ডলিতে যদি মঙ্গল দুর্বল থাকে, তামার আংটি তা থেকেও মুক্তি দেয়। বিশেষত কুমারত্ব, ঝগড়া-বিবাদ ইত্যাদি কমে যায়।
৫. স্বাস্থ্যগত উপকার: তামার আংটি পরলে হজমশক্তি বাড়ে, ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আসে এবং বিভিন্ন শারীরিক যন্ত্রণা ও বাতব্যথা হ্রাস পায়।
তামার আংটি পরার সময়, নিয়ম ও শুদ্ধিকরণ পদ্ধতি
শুধু আংটি পরে ফেললেই হবে না—এর আগে কিছু শুদ্ধিকরণ এবং পবিত্রকরণ প্রয়োজন। শাস্ত্রীয় নিয়ম অনুযায়ী আংটি ধারণ করলে তবেই প্রভাব পড়ে।
✅ উপযুক্ত দিন:
রবিবার সূর্যদেবের দিন, তাই এদিন তামার আংটি পরার জন্য শ্রেষ্ঠ।
✅ আংটির শুদ্ধিকরণ:
১. প্রথমে তামার আংটিকে গঙ্গাজল বা সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
২. তারপর দুধ + মধুতে ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন।
৩. পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে শুকনো কাপড়ে মুছে নিন।
৪. রোদে কিছু সময় রাখলে, তাতে থাকা সম্ভাব্য নেগেটিভ শক্তি কেটে যাবে।
৫. "ॐ सूर्यায় नमः" মন্ত্র উচ্চারণ করে আংটি ধারণ করুন।
✅ কোন আঙুলে পরবেন?
তামার আংটি ডান বা বাঁ হাতের অনামিকায় (Ring Finger) পরতে হবে। এই আঙুল সূর্যের সাথে সম্পর্কিত। অন্য আঙুলে পরলে ফল উল্টো হতে পারে।
কাদের জন্য নিষিদ্ধ তামার আংটি?
যদিও তামা একটি শুভ ধাতু, তবে কিছু মানুষের শরীরে এটি মানিয়ে নেয় না। যেমন:
- ধাতুতে অ্যালার্জি থাকলে তামার সংস্পর্শে এলেই চুলকানি, ফুসকুড়ি, ত্বকে জ্বালাভাব দেখা দিতে পারে।
- তামার আংটি পরে সমস্যা বাড়ছে মনে হলে তৎক্ষণাৎ তা খুলে ফেলতে হবে।
- দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থাকলে বা অজানা কারণে শারীরিক অবনতি ঘটলে আংটি খুলে ফেলুন।
- কুন্ডলিতে সূর্য শক্তিশালী থাকলে তামার আংটির প্রয়োজন নেই—বরং তা উল্টো কাজ করতে পারে।
অতিরিক্ত টিপস (Tantrik Tips Included)
১. তামার আংটি ধারণ করার পর প্রতি রবিবার সূর্যকে জল দিয়ে অর্ঘ্য দিন।
২. আংটি পরে পিতার সেবা করুন—কারণ পিতা ও সূর্য পরস্পর সম্পর্কিত।
৩. আংটির সঙ্গে যদি লাল চন্দন মিশ্রিত করে পুজো করেন, তবে আরও শক্তিশালী ফল পাওয়া যায়।
৪. জ্যোতিষশাস্ত্রে তামা ব্যবহৃত হয় সূর্য এবং রক্ত সম্পর্কিত রোগের জন্য রেমেডি হিসেবে।
তামার আংটি কোনও অলৌকিক উপকরণ নয়, বরং এটি সূক্ষ্ম জ্যোতিষীয় শক্তির বাহক। তাই এটি ধারণের আগে নিজের কুন্ডলি বিশ্লেষণ করিয়ে নেওয়া জরুরি। কেবল শৌখিনতা নয়, এর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অনেক বড়। শাস্ত্র অনুযায়ী ধারণ করলে তামার আংটি আপনার জীবনকে আরও স্থিতিশীল, প্রভাশালী ও শান্তিময় করে তুলতে পারে।
📩 ব্যক্তিগত কুন্ডলি বিচার ও রত্ন ধারণ পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুনঃ
JD Astro Consultancy & Academy
📞 Astrologer Sri Joydeb Sastri (Asian Top 10)
🌐 WhatsApp | FB | Instagram | YouTube
#CopperRingBenefits #AstrologyRemedy #JDastro #JoydebSastri #SuryaRemedy #VedicJewelry #TamarerAngti #BengaliAstrology