সত্যকে অস্বীকার করলে কি গ্রহ ক্ষমা করে?
এ যুগের মানুষ বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে আকাশে তাকায়, কিন্তু নিজের জীবনের পাপফল দেখে না। অথচ, জন্মের সময়ে আপনার লাগ্নে যে গ্রহ বসেছিল, সে-ই তো ঠিক করে দিয়েছে—আপনি প্রেম করবেন, না প্রতারণা পাবেন। আপনার বিয়ে হবে, না কেবল প্রতীক্ষায় কাটবে যৌবন। আপনি ধনী হবেন, না ঋণে ডুবে মরবেন।
অথচ আপনি এই সত্যকে উপহাস করেন, ব্যঙ্গ করেন, এবং বলেন—"এ সব অন্ধবিশ্বাস!"
কিন্তু প্রশ্ন উঠবে —
আপনি কি জানেন কেন ঠিক বিয়ের আগেই সম্পর্ক ভেঙে যায়?
কেন চাকরির মুখ দেখে ফিরে আসতে হয় বারবার?
কেন আপনার সন্তান সব পড়াশোনা জেনেও পরীক্ষায় ফেল করে?
উত্তর একটাই—গ্রহরূপী বিচারকের কাছে আপনি এখনও অপরাধী!
জন্মকুণ্ডলির কারাগারে বাঁধা আপনার ভবিষ্যৎ
আমরা প্রত্যেকে এক একটি গ্রহীয় কেস স্টাডি। আপনার রাশিচক্রের দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও অষ্টম ঘর যদি পাপগ্রহে পূর্ণ থাকে, তবে আপনি যতই চেষ্টা করুন, ব্যর্থতা আপনার রুটিন হয়ে দাঁড়াবে।
উদাহরণ:
- অষ্টম ঘরে শনি = রহস্যজনক মৃত্যু, আচমকা আর্থিক ধ্বস
- ষষ্ঠ ঘরে রাহু = আজীবন শত্রু ও মানসিক বিষাদ
- দ্বিতীয় ঘরে কেতু = পরিবারে অশান্তি, কথার মাধ্যমে সর্বনাশ
আর আপনি ভাবছেন এসব কাকতালীয়!
‘অজান্তে করা পাপ’ গ্রহ মানে না!
বহু মানুষের কুণ্ডলিতে দেখা যায়—তারা বর্তমান জীবনে নিরীহ, কিন্তু পূর্বজন্মের পাপ এত গাঢ়, যে এই জন্মে একটানা দুর্ভোগে ভুগছেন।
- স্ত্রী সুখ নেই — কারণ কুণ্ডলির সপ্তম ঘরে শনির দৃষ্টি
- বারবার ব্যর্থ প্রেম — পঞ্চম ঘরে শুক্র বিপরীতগামী
- মাতৃত্বে দেরি — চন্দ্র এবং রাহুর সংযোগ
আপনি ভাবেন ডাক্তার সব জানে! কিন্তু ডাক্তার কি গ্রহের দৃষ্টি বুঝে ওষুধ দেয়?
জ্যোতিষ অস্বীকার মানেই আত্মবিনাশের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো!
এখনও সময় আছে—নিজেকে জানুন, নিজের কুণ্ডলিকে সম্মান করুন।
নাহলে আপনি লড়াই করবেন এমন এক শত্রুর বিরুদ্ধে, যার অস্তিত্ব আপনি মানতেই চান না। যেমন:
- রাহু: বিভ্রান্তি ও মায়ার কারিগর
- কেতু: বিচ্ছিন্নতা ও গুপ্ত শত্রুর প্রতিভূ
- শনি: কর্মফলের নির্মম ধারক
- মঙ্গল: রক্তদ্বার উন্মোচনকারী অগ্নিদেবতা
মুক্তির উপায়: শাস্ত্র বলছে, প্রতিকার করলেই মুক্তি
আপনি যদি নীচের যে কোনো উপসর্গে ভোগেন, তাহলে আপনার জন্মগ্রহ শান্ত নয়:
- রাতের ঘুম ভাঙে বারবার
- অকারণে মন খারাপ
- প্রেমে বারবার ধোঁকা
- বিয়ে আটকে আছে বছরের পর বছর
- টাকা এলে আটকে যায়, চুরি যায়, নষ্ট হয়
এইসব ক্ষেত্রে শুধু চিকিৎসা নয়, প্রয়োজন জ্যোতিষভিত্তিক প্রতিকার। যেমনঃ
- কালসার্প দোষ নিবারণ পুজো
- মঙ্গল দোষের তান্ত্রিক প্রতিকার
- রাহু-কেতু গ্রহশান্তি যজ্ঞ
- শনির তেল-নৈবেদ্য এবং গোপন দানপ্রথা
- গৃহস্থ বাস্তুদোষ নিরসন
যারা মনে করেন জ্যোতিষ ধোঁকা—they are already being deceived by fate!
জ্যোতিষ কখনও ১০০% ভবিষ্যৎ বলে না, সে বলে সম্ভাবনার মানচিত্র, যেখানে আপনি বিপদ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখতে পারেন।
আপনার মোবাইলে গুগল ম্যাপ আছে বলে আপনি কি দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচেন না? ঠিক তেমনি—জ্যোতিষ আপনার আত্মার জিপিএস।
গ্রহ বিশ্বাস করে না আপনার বিশ্বাসকে
আপনি বিশ্বাস করুন আর না করুন—গ্রহ আপনার প্রতি মুহূর্ত নিয়ন্ত্রণ করে। জন্মের মুহূর্তে যাঁরা আকাশে যেখানে ছিলেন, তার প্রভাবে আপনি জীবনভর সুখ-দুঃখ, প্রেম-বিরহ, ধন-ঋণ—সবকিছু ভোগ করছেন।
তবে কি আপনি এই তথ্য অস্বীকার করে নিজেরই সর্বনাশ ডাকছেন?
আজই নিজের কুণ্ডলির বিশ্লেষণ করান, জানতে পারবেন—কে আপনার আসল ‘বাঁধা’। না হলে... সময় আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে।
লেখক পরিচিতি:Asian Top 10 Astrologer Sri Joydeb Sastri
Founder – JD Astro Consultancy and Academy
সরাসরি কুষ্ঠি বিশ্লেষণ এবং প্রতিকার পেতে যোগাযোগ করুন
Call: 9831498860 | 8961165166